Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

অর্জনসমূহ

বাংলাদেশ পুলিশ দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার প্রতীক। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা প্রদান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষায় পুলিশের প্রতিটি সদস্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতাযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার পর দেশপ্রেমিক পুলিশ বাহিনী তার ডাকে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে অস্ত্র লুট করে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনীর অপারেশন সার্চলাইটের মূল উদ্দেশ্য ছিল পুলিশ বাহিনীকে নির্মূল করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে স্তিমিত করা। দেশপ্রেমিক পুলিশ বাহিনী তখন সশস্ত্র প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করতে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। পুলিশ বাহিনী সেই সময় নবগঠিত সরকারকে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। এ সময় মুজিবনগর সরকারকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় সামগ্রিক সহায়তা প্রদান করে দেশপ্রেমিক পুলিশ বাহিনী। এ সময় পুলিশ বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া মুজিবনগর সরকার গঠন ও পরিচালনা ছিল কষ্টসাধ্য। পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে অন্যান্য বাহিনী এবং বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের প্রবল প্রতিরোধের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাকবাহিনী। ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে মিত্রবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ করে পাকবাহিনী। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে বঙ্গবন্ধু সারদা পুলিশ একাডেমি পরিদর্শনে যান। সেই সময় তিনি পুলিশ বাহিনীর উন্নয়নে নানা দিকনির্দেশনা দেন। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম পুলিশ সপ্তাহ পালন করা হয়। সেই বছর পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পুলিশ সপ্তাহের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর যেসব সদস্য শহীদ হয়েছেন তাদের সম্মান রক্ষা করতে হবে। স্বাধীনতা অর্জন করার চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। এই সময় স্বাধীন বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনীর উন্নয়নে বেশি বেশি কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর জাতীয় পুলিশ সপ্তাহের ভাষণে এই বাহিনীর উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দেন। তারই ধারাবাহিকতায় পুলিশের ঝুঁকি ভাতা, রেশন, পুলিশ হাসপাতালসহ পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকসহ সামগ্রিক অপরাধ নির্মূলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ২০১১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করে বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশের সাম্প্রতিক সাফল্যের অন্যতম সংযোজন কমিউনিটি পুলিশিং। পাড়ায়-মহল্লায় ওয়ার্ডভিত্তিক জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ধারণা বাস্তবায়িত করে সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলায় রক্ষায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি দমন অভিযানে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। এই কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্প্রতি ডিসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানান। দেশে জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের বীরত্ব এবং সাফল্য সারা বিশে^র কাছে আলোচিত বিষয়। হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ, শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান, কল্যাণপুর, নারায়ণগঞ্জ, পল্লবী, আজিমপুর ও গাজীপুরে জঙ্গি দমনে পুলিশের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা দেশবাসীর মনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। জঙ্গি ও অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের সমর্থনে দেশের বিভিন্ন স্থানে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়া এই বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থার নিদর্শন। জঙ্গি দমনে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র‌্যাব, সিটিটিসির ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য। ইউএন মিশনে বাংলাদেশের পুলিশের সাফল্য এবং নারী পুলিশের এফপিইউর সাফল্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই

বাহিনীর সম্মান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বৃদ্ধি পেয়েছে। পারিবারিক ও সামাজিক গন্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশি নারী পুলিশের জাতিসংঘ মিশনে ভূমিকা, তাদের বীরত্বগাথা, ত্যাগ, তিতিক্ষা নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। ইচডঘ আয়োজিত ৩৪টি দেশের নারী পুলিশদের নিয়ে সম্মেলনে বাংলাদেশের নারী পুলিশ অংশ নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজের সার্কভুক্ত দেশের অফিসারদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি পুলিশিংয়ের মেথড সম্পর্কে এই দেশের পুলিশ বাহিনী অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে, যা এই বাহিনীর পেশাদারিত্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল সময় হলো উনিশশ একাত্তর সাল। মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, বেশ কয়েকজন এসপিসহ প্রায় সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্য বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে জীবনদান করেন। উনিশশ একাত্তর সালের মার্চ মাস থেকেই প্রদেশের পুলিশ বাহিনীর ওপর কর্তৃত্ব হারিয়েছিল পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকার। পুলিশের বীর সদস্যরা প্রকাশ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তারা ২৫ মার্চ ১৯৭১ তারিখে ঢাকার রাজারবাগের পুলিশ লাইন্সে ২য় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত বাতিল ৩০৩ রাইফেল দিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। এই সশস্ত্র প্রতিরোধটিই বাঙালিদের কাছে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরুর বার্তা পৌঁছে দেয়। পরবর্তীকালে পুলিশের এই সদস্যরা ৯ মাসজুড়ে দেশব্যাপী গেরিলাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১২৬২ জন শহীদ পুলিশ সদস্যের তালিকা স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিলপত্রে উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহের তৎকালীন সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার মাহবুবউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ মুজিবনগর সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে ঐতিহাসিক গার্ড অব অনার প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ পুলিশ নামে সংগঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের পুলিশ বাহিনীর মতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের জানমাল ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাডিশনাল চরিত্রে বিরাট পরিবর্তন এনে দিয়েছে। শুধু আইন পালন আর অপরাধ প্রতিরোধ বা দমনই নয়, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গত এক দশকে জঙ্গিবাদ দমন এবং নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ পুলিশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। ২০০৯ সালে বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাবেলা কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ভ্রমণরত স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে গঠিত হয় পর্যটন পুলিশ। খুব শিগগির পর্যটন পুলিশের কলেবর বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় এর নিরাপত্তা বিধান কার্যক্রমের আওতায় আনার পরিকল্পনা আছে। পর্যটন পুলিশ জেলা পুলিশের অধীনে কাজ করছে। সারা দেশে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের কার্যক্রম নজরদারি করতে ও তাদের ওপর গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পুলিশ অভ্যন্তরীণ ওয়েবসাইট নামে একটি বিশেষায়িত বিভাগ কাজ করে। ২০০৭ সালে এই বিভাগটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সদর দপ্তরের একজন সহকারী মহাপুলিশ পরিদর্শক এই বিভাগের প্রধান এবং তিনি সরাসরি মহাপুলিশ পরিদর্শকের কাছে রিপোর্ট দাখিল করেন। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি পুলিশ ইউনিট পিআইওর সরাসরি নজরদারির আওতাধীন। পিআইওর এজেন্টরা পুলিশ হেডকোয়ার্টারের পিআইওর ইউনিট। দেশের একমাত্র পুলিশ একাডেমি চারঘাট উপজেলা সদর দপ্তর থেকে এক মাইল দূরে পদ্মার পারে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সারদায় অবস্থিত। তৎকালীন ব্রিটিশ-ভারতে মেজর এইচ চ্যমেই নামে একজন সামরিক অফিসার এই একাডেমির প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি একাডেমির স্থান অনুসন্ধানের জন্য পদ্মা নদী দিয়ে স্টিমারে যাওয়ার সময় চারঘাটে স্টিমার থামান। এখানকার পারিপার্শ্বিক মনোরম পরিবেশে বিশেষ করে বিশাল আমবাগান, সুউচ্চ বড় বড় কড়ই গাছ ও প্রমত্ত পদ্মার বিশালতা দেখে তিনি মুগ্ধ হন। এর পর ফিরে গিয়েই তিনি এখানে পুলিশ একাডেমির স্থান নির্ধারণের জন্য ব্রিটিশ সরকারের কাছে প্রস্তাব পেশ করেন। ব্রিটিশ সরকার তার সুপারিশ গ্রহণ করে এবং ১৯১২ সালের জুলাই মাসে সারদায় পুলিশ একাডেমি উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে এই পুলিশ একাডেমি দেশের পুলিশ প্রশাসনকে গতিশীল ও সচল রাখার জন্য সমসাময়িক ধ্যান-ধারণায় বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। ২০০০ সালে ঢাকায় বাংলাদেশ পুলিশের একমাত্র স্টাফ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার টাঙ্গাইল, রংপুর, খুলনা, নোয়াখালীতে অবস্থিত। বাংলাদেশ পুলিশ বিভিন্ন রকম যানবাহন ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল এবং পিকআপ ভ্যান বেশি ব্যবহার করে থাকে। এ ছাড়া পেট্রোল কার, ট্রাক, বাসও তাদের বহরে আছে। এগুলো ছাড়া হেলিকপ্টার, কমান্ড ভেহিক্যালস, ক্রাইম সিন ভেহিক্যালস, এপিসি, রায়ট কার, জলকামান, এভিডেন্স কালেকশন ভ্যানও পুলিশ বহরে যুক্ত। হাইওয়ে পুলিশ নিশান পেট্রোল, নিশান সানি, হুন্দাই সোনাটা এবং আরও অনেক রকম যান ব্যবহার করে থাকে। এ ছাড়া প্রয়োজনে পুলিশ জনসাধারণের গাড়ি রিকুইজিশন করে জননিরাপত্তা বিধানে ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশ পুলিশের কার্যক্রমে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ২০১৬ সালের অক্টোবরে চালু করা হয় বিডি পুলিশ হেল্পলাইন নামের একটি মোবাইল অ্যাপলিকেশন। এর মাধ্যমে কোনো অভিযোগ করা হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে শুরু করে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ১৯৮৯ সালে নামিবিয়ায় বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম জাতিসংঘের শান্তি মিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে কাজ করে। এর পর থেকে যথাক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা আইভরি কোস্ট, সুদান, দারফুর, লাইবেরিয়া, কসোভো, পূর্ব তিমুর, ডিআর কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলা, হাইতিসহ অন্যান্য মিশনে কাজ করে। ২০০৫ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন আইভরি কোস্টে প্রথম সন্নিবেশিত পুলিশ ইউনিট এফপিইউ কাজ শুরু করে। শান্তিরক্ষী মিশনে সর্বোচ্চ সংখ্যক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি বাংলাদেশের। বর্তমানে পৃথিবীর ছয়টি দেশে চলমান সাতটি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে দুটি নারী পুলিশ সদস্যের সমন্বিত এফপিইউসহ যার একটি কঙ্গোতে অন্যটি হাইতিতে সর্বমোট ২০৫০ জন কর্মরত আছেন। আন্তর্জাতিক মিশনে কাজ করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে বাংলাদেশ পুলিশ। সেই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে অপরাধ দমন করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এই বাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম। পুলিশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক জাতীয় পুলিশ সপ্তাহে এই হোক প্রত্যাশা।